ড্যাপস্ একটি সুরক্ষিত স্কুল ক্যাম্পাস। বহুতল স্কুল ভবন, প্রশস্ত খেলার মাঠ, শিশুপার্ক, ফুলবাগান ইত্যাদিতে সমৃদ্ধ। ড্যাপস্ সবসময় আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতি, শিক্ষা-সূচি এবং গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ করে। এখানে কেবল পুঁথিগত বিদ্যাকে সম্বল না করে স্বতঃস্ফুর্তভাবে সৃজনশীল চিন্তা, এবং কাজ করার শিক্ষা কৌশল রপ্ত করার শিক্ষা দেওয়া হয়।
অভিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ড্যাপসৃ এর বোর্ড অব ডিরেক্টরস গঠিত। ড্যাপস্ -এর পরিচিতি এর শিক্ষা-ব্যবস্থায়। এই স্কুল পরিবার মনে করে যে, শিশুরা তার নিজ নিজ পরিবারে একটা আশীর্বাদ স্বরূপ। আর এ জন্যই ড্যাপস্ -এর শিক্ষকমন্ডলী নিষ্ঠা একাগ্রতার সঙ্গে কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা দেন যাতে তারা ভবিষ্যতে শারীরিক, মানসিক, নৈতিক এবং সামাজিক ভাবে গড়ে ওঠে যে কোন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে পারে। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষা উপকরণ ব্যবহারের দিক থেকেও ড্যাপস্ স্বতন্ত্র। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিটি শ্রেণীকক্ষে রয়েছে যথেষ্ট আসবাবপত্র এবং মানের দিক থেকেও এগুলো উন্নত। তাছাড়া প্রতিটি শ্রেণীকক্ষই চার্ট, ছবি, পোস্টার, অডিও-ভিজ্যুয়াল এইড, এল, ই, ডি টিভি, ইত্যাদি শিক্ষা উপকরণ ও দৃষ্টি নন্দন চিত্র শিল্প দিয়ে সুসজ্জিত।
এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন অডিও-ভিজ্যুয়াল শিক্ষা উপকরণ যেমন- ইন্টারনেটসহ একটি আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, রঙিন চার্ট, ফ্ল্যানেল বোর্ড, এবং সিডি প্লেয়ার, টিভি, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ইত্যাদি। এছাড়া দেশী- বিদেশী বই, পত্র-পত্রিকা নিয়ে ড্যাপস্ এর লাইব্রেরীটিও স্বয়ং-সম্পূর্ণ। ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখার পাশাপাশি অবসর সময়ে আনন্দ দেবার জন্য ড্যাপস্ এর একটি মনোরম পার্ক আছে, যা শিশুপার্ক নামে পরিচিত। আছে বিশাল চ্যাপেল হল, যেখানে বসে এলসিডি, প্রজেক্টরে শিক্ষা বিষয়ক মুভি দেখতে পায় । আরও আছে জেনারেটর দ্বারা সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। তাছাড়া প্রতিটি ক্লাসরুম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ড্যাপস্ নিয়মিত ভাবেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে যেমন- স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, খাদ্য ও পুষ্টি, পারিবারিক জীবন, পারিবারিক অর্থায়ন, শিশুদের শিক্ষা ও নিয়মানুবর্তিতা, এইডস্ বিষয়ক সচেতনতা, মাদক ও ধূমপানে স্বাস্থ্যের ক্ষতিকর, স্পোকেন ইংলিশ ইত্যাদি নিয়ে সভা, সেমিনার এবং আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। ছোট-খাট অসুস্থতা যেমন- মাথা ব্যাথা, জ্বর ইত্যাদি এবং স্কুল চলাকালীন সময়ে ছোট-খাট দুর্ঘটনার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার সু-ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণভাবে নবীন-বরণ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, নববর্ষ, বিজয় দিবসসহ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।