১। শিক্ষাবর্ষ জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২। বছরে তিনটি টার্মে তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় (প্লে-চতুর্থ শ্রেণি) ।
৩। প্রতিটি টার্মে ক্লাস টেস্ট, হোম ওয়ার্ক, ও অন্যান্য মূল্যায়ন থেকে ৫০% নম্বর ও টার্ম পরীক্ষা থেকে ৫০% নম্বর নিয়ে প্রতিটি টার্মের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
৪। তিনটি টার্মের গড় নম্বর (১ম টার্ম থেকে ৩৩%, ২য় টার্ম থেকে ৩৩% তৃতীয় টার্মথেকে ৩৪% নম্বর) নিয়ে চূড়ান্ত বা বার্ষিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
৫। ৫ম, ৮ম শ্রেণির পরীক্ষা, সমাপণী পরীক্ষার নমুনা অনুযায়ী সম্পন্ন করা হয়।
৬। ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
৭। প্রতিটি শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল গ্রেডিং পদ্ধতিতে করা হয়।
৮। যে কোন বিষয়ে পাশ নম্বর ৪৫%। এর কম নম্বর পেলে তার গ্রেড F বা ফেল হবে।
৯। চূড়ান্ত (বার্ষিক) ফলাফলে কোন বিষয়ে F প্রাপ্তদের কোন ক্রমে প্রমোশন দেওয়া হবে না।
১০। অভিভাবক দ্বারা কর্তৃপক্ষকে অবগত না করে কোন পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে, পরবর্তীতে সেই পরীক্ষা নেওয়া হবে না । ফলে তার গ্রেড F বা ফেল হয়ে যেতে পারে।
১১। অসুস্থতার কারণে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারলে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র সহ আবেদন করে পরীক্ষার দিনক্ষণ জেনে নিতে হবে।
১২। অসুস্থতা ব্যতীত অন্য কোন কারণে পরীক্ষা না দিলে প্রতিটি পরীক্ষার জন্য (প্লে-১ম-শ্রেণি) ৩০০/= টাকা ও ২য়-১০ম শ্রেণি ৫০০/= টাকা জরিমানা দিয়ে পুনঃপরীক্ষার জন্য আবেদন করা যাবে। অবশ্যই পরীক্ষা শেষ হবার এক সপ্তাহের মধ্যে হতে হবে। নতুবা তার পরীক্ষা নেওয়া হবে না।
১৩। প্রতিটি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর তার গ্রেড কার্ড দেওয়া হয়। অভিভাবকগণ প্রতিটি গ্রেড পর্যবেক্ষণ করে স্বাক্ষর করবেন এবং পুনরায় শ্রেণী শিক্ষকের কাছে অবশ্যই ফেরত পাঠাবেন।
পরীক্ষাপত্র মূল্যায়ন পদ্ধতি
ড্যাপস্ স্কুল প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছে । প্রতি সপ্তাহে কুইজ ছাড়াও বছরে ৩টি সাময়িক পরীক্ষা হয়। বার্ষিক পরীক্ষার খাতা ব্যতিরেকে ১ম ও ২য় সাময়িক পরীক্ষার খাতা ছাত্র-ছাত্রীদের দেয়া হয় যেন তারা তাদের ভুলগুলো দেখে শোধরানোর সুযোগ পায়। ঢাকা আ্যড্ভেন্টিস্ট প্রি-সেমিনারি এন্ড স্কুল কম্পিউটারের প্লে শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ফলাফল কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রস্তুত করে। সেমিস্টার পদ্ধতিতে পাঠদান করা। শিক্ষাবর্ষকে তিনটি সেমিস্টারে ভাগ করে আলাদাভাবে পাঠদান ও পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাছাড়া ক্লাস টেস্ট, বাড়ির কাজের শ্রেণির কাজ এর মাধ্যমে আলাদা নম্বর প্রদান করা হয়। উক্ত নম্বরগুলো সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে সমন্বয় করে গ্রেড তৈরি করা হয়। তিনটি সেমিস্টারের গড় ফলাফলই হয় চূড়ান্ত বা বার্ষিক ফলফল। বিনা অনুমতিতে একটানা ১৫ দিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে। পরীক্ষার ফলাফল আধুনিক Software এর মাধ্যমে Grading পদ্ধতিতে প্রস্তুত হয়। নিচে ফলাফল তৈরির নমুনা দেয়া হল:
LETTER GRADE PERCENTAGE RANGE |
|||||||
A= Excellent |
B= Above Average |
C= Average |
D= Below Average |
||||
|
|
B+ |
85 - 89 |
C+ |
70 -74 |
D+ |
55 - 69 |
A+ |
95 - 100 |
B |
80 - 84 |
C |
65 - 69 |
D |
50 -54 |
A |
90 - 94 |
B- |
75 - 79 |
C- |
60-64 |
D- |
45-49 |
বিশেষ জ্ঞাতব্য এই যে, যদি চূড়ান্ত ফলাফলে আপনার সন্তানের গ্রেড কার্ডে নূন্যতম ১টা F থাকে তাহলে পরবর্তীতে নতুন ক্লাশে উত্তীর্ণ হতে পারবে না। একই ক্লাসে পরপর ২ বছর কোন ছাত্র-ছাত্রীকে ভর্তি করা যাবে না। আমাদের বিশ্বাস, আপনাদের সহযোগিতা, শিক্ষক/শিক্ষিকা মন্ডলীর সর্বাত্নক চেষ্টা এবং সর্বোপরি, মহান সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহে আপনাদের সন্তান/সন্ততিদের শারীরিক, মানসিক, আত্মাধিক ও সামাজিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে।