১লা বৈশাখ
বাংলা নববর্ষ বাঙ্গালী জাতীয় জীবনের জাতীয় উৎসব। তাই বাংলা নববর্ষ বাঙ্গালী ও বাংলা ভাষার জীবনে বিশেষ এক তাৎপর্যপূর্ণ দিন। নববর্ষ নিয়ে আসে নতুন সুর, নতুন উদ্দীপনা। অতীতের দুঃখ-বেদনাকে হাসি ও আনন্দ গানে ভরিয়ে দিতে আসে বাংলা নববর্ষ। তাই প্রতি বছর ড্যাপস্ স্কুলের ছাত্র/ছাত্রী- স্কুল কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক শিক্ষিকা, ও অভিভাবকবৃন্দ পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে। নানান রকম খেলার সামগ্রী, পান্তা ইলিশ, বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার তৈরি করে বিভিন্ন স্টলে বিক্রি হয়ে থাকে। স্কুলের মাঠ কানায় কানায় মানুষ ভরে যায়। ছাত্র/ছাত্রীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপন করে থাকে। মহাধুমধামে শুরু হয় বর্ষবরণ এবং সবাই একসাথে গেয়ে ওঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই গান-
“এসো, হে বৈশাখ এসো, এসো-
তাপস্ নিঃশ্বাস বায়ে,
মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে বৎসরের আবর্জনা,
দূর হয়ে যাক।
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাংলার বাঙালী জাতীর ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড শিক্ষা লাভ করে এবং কিভাবে বাধা, দুঃখ ভুলে গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে এই চেতনা ও প্রেরণা শিক্ষা লাভ করে। তাই এই ১লা বৈশাখ একটি জাতীয় উৎসব।
মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
মা, মাটি ও মাতৃভাষা এই তিনটি বিষয় প্রতিটি মানুষ তথা প্রতিটি জনগোষ্ঠীর কাছে অপরিহার্য গুরুত্ব বহন করে। প্রত্যেক জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, কৃষ্টি বা আচরিত অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি হল তাদের নিজস্ব ভাষা। তাই প্রতিটি শিশুর ভাষা বিকাশের প্রথম এবং প্রধান ভিত্তি হল তার মাতৃভাষা। ‘‘একুশ” শব্দটি প্রতিটি বাঙালির কাছে বেদনার হলেও গর্বের বিষয়। শিশু সন্তানেরা বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে আসার পর ২১শে ফেব্রুয়ারী অর্থাৎ ভাষা শহীদ দিবস সম্পর্কে ধারণা লাভ করে এবং জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ভালোবাসতে শুরু করে। প্রতিবছর ড্যাপস্ স্কুল এই ভাষা শহীদের স্বরণ করে- এই দিনটি গাম্ভীর্যের সহিত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে এই অনুষ্ঠান পালন করে থাকে।
১৫ই আগষ্ট (জাতীয় শোক দিবস)
১৫ই আগষ্ট আমাদের জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট এই দিনে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের অনেক সদস্যদের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা নির্মমভাবে হত্যা করে। তাই আমাদের দেশের মানুষের জন্য সত্যিই এই দিনটি একটি অত্যন্ত শোকের দিন। এই দিনেকে স্বরণ করে আমাদের ড্যাপস স্কুল প্রাঙ্গনে গাম্ভীর্যভাবে পালন করা হয় জাতীয় শোক দিবস। এই দিনের শুরুতেই কালো পতাকা ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। প্রধান শিক্ষক এই দিনের ইতিহাস ও তাৎপর্য সংক্ষেপে সবার সামনে উপস্থাপন করেন। বিশেষভাবে এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জীবনী, দেশের ও সমাজের জন্য যে অবদান তা আলোচনা করে থাকে। শিক্ষার্থীদের দেশ ও সমাজ গড়ার কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান করা হয়। এই দিনে অংশগ্রহণ কারীদের খাবার পরিবেশন করা হয়। দলীয় সঙ্গীত, দেশাত্ববোধক সঙ্গীত ও চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়ে থাকে।
ক্লাস পার্টি
সারাটি বৎসর পড়াশুনা ও কর্মব্যস্ততায় কেটে যায় ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দিনগুলো। এই ব্যস্ততার মাঝেও যখন দেখতে দেখতে বৎসরের শেষ প্রান্তে এসে যায় তখন সবাই প্রতীক্ষায় থাকে একটি আনন্দময় রঙ্গিন উৎসবের দিনের জন্য। আর সেই দিনটি হলো ক্লাস পার্টি। প্রতি বছর এই ক্লাস পার্টি সাধারণত নভেম্বর মাসের ২য় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের আনন্দ সহভাগ করে থাকে। একে অপরকে সাহায্য করার মনোভাব গড়ে তুলে। এই দিনে শিক্ষার্থীরা ক্লাস রুম সুন্দর ভাবে সাজিয়ে থাকে এবং একে অপরকে উপহার সহভাগ করে
স্কুল পিকনিক
ড্যাপস স্কুল প্রতিবছর ” স্কুল পিকনিক” শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করে থাকে। শিক্ষার্থীরা ক্লাস রুমে পড়াশোনি নিয়ে সর্বদা ব্যস্ত থাকে-তাই মানসিক ভাবে তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এজন্য ড্যাপস্ স্কুল পিকনিক আয়োজন করে থাকে। শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য স্কুল পিকনিক অত্যন্ত প্রয়োজন। বিভিন্ন স্থানে পর্যায় ক্রমে স্কুল প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্কুল পিকনিক প্রতিবছর আয়োজন করন। শিক্ষার্থীরা হৈ, চৈ এর মাধ্যমে আনন্দ উপভোগ করে দিনটি শেষ করে। বাসে চড়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবক বৃন্দ স্কুল প্রাঙ্গণে থেকে স্কুল পিকনিকের নির্ধারিত স্থানে যায় এবংফিরে আসে ।